চোখের সামনে পানি পানি বলে চিৎকার করেছিল মেয়েটি: ফেলানীর বাবা

সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেলানীর বাবাছবি: সংগৃহীত

পাখির মতো গুলি করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল ফেলানীকে। চোখের সামনে পানি পানি বলে চিৎকার করেছিল সে । বিএসএফ কিছু করতে দেয় নাই। কাঁটাতারে পাঁচ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাকে। এই কথাগুলো বলেছেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন নূর ইসলাম। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ‘বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ’ এই সমাবেশের আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

মেয়ে হত্যার বিচার নিয়ে ফেলানীর বাবা বলেন, ‘আমি কতবার বিচারের জন্য গিয়েছি। আমাকে শুধু আশ্বাস দিয়ে রেখেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের এত চাপে রেখেছে, কোনো দিন এ বিষয়ে কথাও বলতে দেয় নাই।’

বর্তমান সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে নূর ইসলাম বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত করে যেভাবে আমার মেয়েকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে, হত্যাকারীকেও যেন সেভাবে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে বিচার করা হয়। আর যেন সীমান্তে হত্যাকাণ্ড না হয়। আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদাচ্ছির, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন সরকার, সাখাওয়াত জাকারিয়া। তারা সরকারের কাছে ফেলানীসহ সীমান্তের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, ভারতের সঙ্গে নায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক ও বিজিবিকে আরও ক্ষমতায়নের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন