রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্থানীয় যুবকদের হামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে সূত্রাপুরের বানিয়ানগর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে সূত্রাপুর এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। খাওয়া শেষে ফেরার সময় তিনি দেখেন, তাঁর মুঠোফোন নেই। স্থানীয় কয়েকজন যুবককে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি তাঁর সহপাঠীদের ঘটনাটি জানান। তাঁরা ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে তাঁদের মারামারি হয়। এই ঘটনায় এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুই যুবককে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেয়।
সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মুঠোফোন খোয়া যাওয়ার জেরে মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তাই মুচলেকা নিয়ে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে সূত্রাপুরের বানিয়ানগর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী চা খেতে যান। এ সময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় পেয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে আসেন। তাঁদের ওপরও হামলা করেন যুবকেরা। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় যুবকেরা দ্রুত চলে যান। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। মুঠোফোন খোয়া যাওয়া নিয়ে মারামারির জেরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে শিক্ষার্থীদের ধারণা।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর নাম আবু সুফিয়ান। জবির সমাজকর্ম বিভাগের এই শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে চা খেতে এক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলাম। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে পরিচয় জানতে চান। জবির ছাত্র জানার পরই তাঁরা হামলা চালান। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করেন। যুবকেরা কেন হামলা চালাল, তার কিছুই জানি না।’
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।