র‍্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা, ১ লাখ টাকা জরিমানা

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়
ছবি: দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ অ্যান্ড সন্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলামের কাছ থেকে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় র‍্যাব-৩–এর সদর দপ্তরের ভবন নির্মাণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ এ জরিমানা করেন।

এ ছাড়া আজ করপোরেশনের আওতাধীন ইস্কাটন গার্ডেন, বাসাবো, নাজিমউদ্দিন রোড, আলু বাজার, গোপীবাগ, গ্রিন মডেল টাউন, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং ও কোনাপাড়া এলাকায় আরও সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এ দিকে আজ দ্বিতীয়দিনের মতো করপোরেশনের আওতাধীন ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

আজকের অভিযানে ১ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জরুল হক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় র‍্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এ ছাড়া ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকায় ৪৩টি বাসা বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিমউদ্দীন রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১টি বাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৪ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুবাজার এলাকায় ৪৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায় এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবাগ এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৭ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন এবং আমিন মো. হাউজিংয়ের ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৯৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।