নির্বাচনে বাইরের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়: সম্মিলিত নাগরিক সমাজ
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ সম্মিলিত নাগরিক সমাজের। সংগঠনটির নেতারা বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন আমরা করব। বাইরের কারও হস্তক্ষেপ এখানে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের নেতারা এসব কথা বলেন।
‘দেশের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধ কর’ শিরোনামে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু বিদেশি বাংলাদেশে কুতৎপরতা চালাচ্ছে। বড় বড় দেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশও মিলে গেছে এবং প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে।’
প্রভাব বিস্তারের কেন চেষ্টা করছে—তার ব্যাখ্যা দিয়ে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেক হয়েছে, সামাজিক অগ্রগতিও অনেক হয়েছে। এটা কারও কারও সহ্য হচ্ছে না।’
খলীকুজ্জমান আহমদ আরও বলেন, ‘যারা একসময় আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তারা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের কার্যক্রম আমরা চালাব। আমাদের নীতি নির্ধারণ আমরা করব। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। বাইরের কারও হস্তক্ষেপ এখানে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ম হামিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের সিদ্ধান্ত আমরাই নেব, আমাদের রাজনীতিবিদেরাই নেবেন। জনগণ ম্যান্ডেট দেবে, সেই অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। এখানে বাইরের শক্তির কিছু করার নেই, সেটা আমরা মানতেও রাজি না।’
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠুভাবে হয়, সেটা পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে ম হামিদ বলেন, ‘এখানে ভুলত্রুটি থাকলে সেটা নিয়ে কথা বলুন। কিন্তু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সেটা নিয়ে আপনাদের সুবিধামতো রায় তৈরি করার যে নীলনকশা করেন, সেটা দেশের জনগণ হতে দেবে না।’
পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সভাপতি মির্জা এ টি এম গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দেশে কখনোই আমরা বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি সরকার গঠন হবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস, শিক্ষাবিদ জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আবদুল মোতালেব, কর্মজীবী নারীর সংগঠক রাবেয়া আক্তার প্রমুখ।