নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, অসুস্থতার কারণে মান্না আসতে পারেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই তিন নেতা প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি।
ধাক্কা দিয়ে সরকারকে ফেলে দেওয়া যাবে না—প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে কর্মসূচিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছোটখাটো ধাক্কায় এ সরকারকে হটানো যাবে না।
সজোরে ধাক্কা দিতে হবে।’ সরকার সরে না দাঁড়ালে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। সরকার মাঝেমধ্যে ভোটের নামে নাটক ও তামাশা করে। জনগণ আর তামাশা করার সুযোগ দেবে না। জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের গুম, খুন, হত্যা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে অন্যান্য দলের মতো গণতন্ত্র মঞ্চও গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি বেলা ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি শুরু হয় প্রায় এক ঘণ্টা পর।
নেতা–কর্মীরা আসার আগেই কর্মসূচিস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান নেন।
নেতা–কর্মীরা সাড়ে ১১টার পর থেকে আসতে শুরু করেন। মঞ্চের দলগুলো ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কর্মসূচিস্থলে আসে।