কাউকে জোর করে দূরে রাখার চেষ্টা করছি না: বদিউল আলম মজুমদার
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, তাঁরা কাউকে জোর করে বা অন্যায়ভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন না। তাঁরা রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য সংস্কার কমিশন অনেকগুলো প্রস্তাব করেছে।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ‘আরএফইডি টক’–এ বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটের কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
১৫ জানুয়ারি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে। সেখানে ফেরারি আসামি, গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সুপারিশ করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের সুপারিশগুলোর কথা তুলে ধরে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা জোর করে বা অন্যায় করে বা অযাচিতভাবে কাউকে দূরে রাখার চেষ্টা করছি না। যারা অপরাধ করেছে, শাস্তি পেয়েছে কিংবা প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাঁদের নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে দূরে রাখার সুপারিশ করেছি।’
কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই, এমনটা উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন একটি বড় সমস্যা। এখান থেকে উত্তরণে কতগুলো গভীর ও গুরুতর সংস্কার প্রয়োজন। তাঁরা তাঁদের সুপারিশে রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করেছেন।
সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করবে, এমন আশার কথা জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়ে সুপারিশগুলো করেছেন। অনেকেই তাঁদের বলেছেন, কুৎসিত লোকেরা যেন সংসদ ভবনে আর প্রবেশ করতে না পারেন। তিনি বলেন, যাঁরা ফেরারি আসামি, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার ব্যাপারে ভয়াবহ ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের নির্বাচনী অঙ্গন থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছেন।
সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের আলোচনা হবে বলে জানান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তার বেশির ভাগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে সংবিধানের সংশোধন করা প্রয়োজন হবে, সেগুলো ভিন্ন। বাকিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারই করতে পারবে।