যাত্রী কম নিয়ে ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস

গাবতলী টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। ৩ ডিসেম্বরছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং

বিএনপির ডাকা নবম দফার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন আজ রোববার সকালে রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কয়েকটি বাস ছেড়েছে, তবে এসব বাসে যাত্রী ছিল কম।

সকাল ৬টা থেকে শুরু করে বেলা ১১টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে বিভিন্ন কোম্পানির মোট ১৮টি বাস ছেড়েছে। টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটির কর্মীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

একদিকে অবরোধ কর্মসূচি, অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি ও কর্মীরা। তাঁরা বলেন, যাত্রী কম থাকায় নির্ধারিত সময়ে বেশির ভাগ বাস ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। ৩৫ থেকে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৮ থেকে ২০ জন যাত্রী হলেও বাস ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীতে গণপরিবহন, প্রাইভেট কার ও ছোট যানবাহন চলছে, তবে স্বাভাবিকের তুলনায় কম।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলের মহাসচিবসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা বিভিন্ন দল ও জোট। এই দাবিতেই আজ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও অন্যান্য দল। দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি আগামী মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলবে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো খোলা। কাউন্টারের ভেতরে ও সামনে বাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো যাত্রী দেখলেই কোথায় যাবেন, তা জানতে চাচ্ছেন। অনেক বাস কোম্পানির প্রতিনিধিদের আবার টার্মিনালের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে বাসের নাম, গন্তব্য ও কখন ছাড়বে—সেই সময় বলে যাত্রীদের ডাকাডাকি করতে দেখা যায়।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায় গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস। বাসটির চালকের সহকারী আমির আলী জানান, বাসটি ১০টায় ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস ছাড়ার মতো যাত্রী না থাকায় আধা ঘণ্টা দেরিতে বাস ছাড়া হয়েছে। ছাড়ার সময় বাসটিতে ২২ জন যাত্রী রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গাবতলী বাস টার্মিনালে একটি কাউন্টারে যাত্রীরা। ৩ ডিসেম্বর
ছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং

ওই বাসের যাত্রী রিপন হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক জরুরি কাজে গ্রামের বাড়ি যেতে হচ্ছে। তবে আধা ঘণ্টা দেরি হলেও বাড়ি যেতে পারছি, এটাই আসল।’

পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় কিছু বাস কোম্পানিগুলোকে দুপুরের পর বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে টিকিট বিক্রি অথবা বুকিং নিতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গাগামী দর্শনা ডিলাক্সের কাউন্টার মাস্টার সবুর মিয়া বলেন, সকালে কোনো বাস ছাড়ার শিডিউল রাখা হয়নি। প্রথম বাস ছাড়া হবে বেলা তিনটায়। রাত পর্যন্ত মোট চারটি গাড়ি ছাড়া হবে।

হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তাঁদের মোট ৩টি গাড়ি ছেড়েছে। তবে সব কটি বাসেই আসনের তুলনায় যাত্রী কম ছিল। অবরোধ ছাড়াও সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় যাত্রী কম বলেও জানান তিনি।

আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার মোহাম্মদপুর, কলেজগেট, শ্যামলী, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর-১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার বাসস্ট্যান্ড গিয়ে সিটি বাস চলতে দেখা গেছে।