সহজেই রক্ত মিলবে ‘বাঁধন’ অ্যাপে

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদ
ছবি: সংগৃহীত

রক্তপ্রাপ্তিকে সহজ করতে অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ‘বাঁধন’ অ্যাপে সহজেই মিলবে চাহিদা অনুসারে রক্ত। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদ এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাঁধনের ২৬তম বর্ষপূর্তি ছিল গত ২৪ অক্টোবর। এবারে প্রতিপাদ্য ‘ছাব্বিশের স্বপ্নকথা, রক্তদানেই মানবতা’। সরকারি ছুটি থাকায় স্বল্প পরিসরে ওই দিন বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও সারা দেশের বাঁধনের কর্মীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাঁধন’ অ্যাপের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বাঁধন অ্যাপে দেশের ৫৮টি জেলা থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার রক্তদাতার তথ্য যুক্ত হয়েছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। রক্তদানে আগ্রহী এই ৬০ হাজার রক্তদাতার সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।

সারা দেশে বাঁধনের কার্যক্রম আছে এমন ইউনিটগুলোর নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নতুন রক্তদাতা এই অ্যাপে যুক্ত হতে থাকবেন। এ ছাড়া রক্তদাতার খোঁজে বাঁধন অ্যাপে যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁরাও চাইলে রক্তদাতা হিসেবে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। অ্যাপটিতে রক্তদাতার তথ্যের পাশাপাশি দেশের ৫৮টি জেলার দুই হাজার হাসপাতালের তথ্য দেওয়া আছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঁধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকীব আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ফাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন আলী, বাঁধন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আশাদুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক ও বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ মূলমন্ত্রে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে যাত্রা শুরু করে বাঁধন। বর্তমানে দেশের ৫৪টি জেলায় ৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১২টি জোন, ১৪১টি ইউনিট ও ৩টি পরিবারের মাধ্যমে বাঁধন স্বেচ্ছাসেবী এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।