২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ২২ জনের মৃত্যু

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২২ জনের মৃত্যু হলো। আর এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ১৮৮ জনের।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে একজন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ২১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২৫৬ জন রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৯। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২১,, বরিশাল বিভাগে ১০২, খুলনা বিভাগে ৯১, রাজশাহী বিভাগে ৬৮, রংপুর বিভাগে ৩৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ২১ ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ২ জন ভর্তি হয়েছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে, সংখ্যাটি ছিল ৩৯৬। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। এর পরের মাসে অক্টোবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৫৯ জনের। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন।

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮০৮ জন। এ সময় ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে। এরপর ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী ও ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।

আরও পড়ুন

এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। এই বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৫। মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ২২। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন