প্রতিবাদী গানে পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষার দাবি

কারওয়ান বাজারসংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদী গানের আয়োজন করা হয়। পান্থকুঞ্জ পার্ক, ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রতিবাদী গানে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক দিয়ে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবিতে ‘পান্থকুঞ্জে গাইবে পাখি’ শীর্ষক এই আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পান্থকুঞ্জ রক্ষায় নিজেদের অবস্থান কর্মসূচির ৪৩ তম দিনে প্রতিবাদী এ আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল পান্থকুঞ্জ নোম্যাডসের পরিবেশনা। এর পরে মঞ্চে গান পরিবেশন করে সুডোস অন আ রং রুট। সন্ধ্যা ৬টার পরে মঞ্চে ওঠে অধীপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কের ভেতরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ফেলে রাখা একটি কনটেইনারকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ করা হয়েছে। ওই কনটেইনারটিকে রাঙানো হয়েছে প্রতিবাদী নানা লেখা দিয়ে। এর মধ্যে আছে ‘গো ব্যাক এলিভেটেড এক্সপ্রেস’; ‘নো ফরেইন লোন’; ‘সেভ পাবলিক স্পেস’ প্রভৃতি।

পার্কজুড়ে কাগজে লেখা নানান পোস্টার। তাতে কোথাও লেখা ‘জুলাই-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার, সকল পার্ক হবে জনতার’; ‘নগরবাসীর নির্দেশ, উদ্যান দখল নিষেধ’ প্রভৃতি।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মঞ্চে ওঠেন অরূপ রাহী। গান গাওয়ার আগে তিনি পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে কিছু কথা বলেন। তিনি বলেন, সমাজে কোনো আন্দোলন কখনোই চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয় না। আজকের আন্দোলন আগামীর আন্দোলনের জন্য পটভূমি তৈরি করে। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু পান্থকুঞ্জ রক্ষার আন্দোলন নয়। এই দেশকে শহর এবং সমাজকে কীভাবে দেখতে চাই, এটা সেই আন্দোলন।’

প্রতিবাদী এ সাংস্কৃতিক সমাবেশে গান গেয়ে সংহতি জানান এ কে রাহুল, ও, কুশল, কেপি রাজিব, গানপোকা, নাঈম উল হাসান, তানভীর আনজুম, দীপ রায়, ট্রি ফান্ড, জ্যান্ত পুতুল, বেতাল, মুনহামান্না, রূপকল্পা এবং লিসান।

পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত পরিবেশ ও জলবায়ু কর্মী নয়ন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এই সরকার পতিত স্বৈরাচার সরকারের পরিবেশবিধ্বংসী ও জনবিরোধী উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করছে। এ জন্য তো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। এটা কি গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?

ভিন্নধর্মী ও প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব প্রথম আলোকে বলেন, এই সরকারের পক্ষ থেকে কথার বরখেলাপ হয়েছে। তাদের তিন উপদেষ্টা যে কথা দিয়েছিলেন, সেই কথা রাখেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা ভাঙচুর করব না, হরতাল ডাকব না, রাস্তা আটকাব না, অনশন করে মরে যাব না। আমরা এমন শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করে যাব।’