নিষিদ্ধঘোষিত আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য গ্রেপ্তার: র‌্যাব

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন,  ইসমাইল হোসেন (২৫), জিহাদ হোসেন ওরফে হুজাইফা (২৪) ও  আমিনুল ইসলাম (২৫)। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়েছে। আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং (সদস্য সংগ্রহ) শাখার প্রধান ইসমাইল হোসেন। আর জিহাদ হোসেন আঞ্চলিক প্রশিক্ষক।

আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এসব কথা বলেছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁরা জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য। আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন তাঁরা। আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘শাহাদাত’ নামে সংগঠন তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন এই ব্যক্তিরা। এ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধানের দায়িত্বের ছিলেন ইসমাইল।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শাহাদাত’ সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছেন সালাহউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। আসামিরা আনসার আল ইসলামের নাম ব্যবহার না করে ‘শাহাদাত’ নামে সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। আসামিরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরাসহ ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করেছেন বলে জানা যায়।

র‌্যাব বলছে, শাহাদাত গ্রুপের সদস্যরা অধিকাংশই মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। গ্রেপ্তার ইসমাইল নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিসে অধ্যয়নরত। আর জিহাদ মাদ্রাসার শিক্ষক।  আমিনুল পোশাক শ্রমিক। ছয় মাস আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত একজন জঙ্গির সঙ্গে আমিনুলের পরিচয় হয়। এরপর তিনি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হন।