বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সকালে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যাও। তবে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দূরপাল্লার বাস ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে না।
মহাখালী ও গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় থাকা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাস চলাচল না করায় গন্তব্যে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। তাঁরা বলছেন, জরুরি প্রয়োজনেই তাঁরা হরতালের মধ্যেও বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সকাল ১০টা থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ আলম। তাঁর বাড়ি রংপুরে।
ব্যবসার কাজে গত শনিবার ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। ছিলেন একটি আবাসিক হোটেলে। হোটেল ছেড়ে সকালে রংপুরে যাওয়ার জন্য আসেন গাবতলী বাস টার্মিনালে। সেখানে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় তাঁর।
মোহাম্মদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কোনো বাস ছাড়ছে না। বাস কোম্পানির লোকেরা বলছেন, দুপুরের পরে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত হবে। তাই অপেক্ষা করছি।’
বাস কোম্পানির কর্মীরা বলছেন, যাত্রী নেই, তাই চাইলেও বাস ছাড়তে পারছেন না। তবে বিকেল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে জানান তাঁরা। সে অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে টিকিটও বিক্রি করা হচ্ছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ বাহার প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রী পেলে দুপুরের পর থেকে বাস ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মহাখালী থেকে ছাড়ছে এনার বাস
এদিকে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এনা পরিবহনের বাস ছাড়া আর কোনো পরিবহন কোম্পানির বাস কোনো গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে না।
এনা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সুমন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শুধু ময়মনসিংহের উদ্দেশে ১২টি বাস ছেড়েছেন তাঁরা।
মহাখালী বাস টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় থাকা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে আমিও দূরপাল্লার একটি বাস চালাই। হরতাল-অবরোধের কারণে বাস চলাচল এখন বন্ধ। তাই ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।’