দগ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসানের বিস্ফোরণ-আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্ত শেষে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। মেহেদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত জুলাই মাসে মেহেদির বাবা আবদুল লতিফ রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাঈনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তিও রাখা যাবে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনার পর ঢাকা ওয়াসা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দুই মাসের মধ্যে জানিয়ে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। মেহেদি হাসানের পরিবারকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, ওই ঘটনায় অবহেলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারসচিব, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১ মে গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ-আগুনে শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। মেহেদি বাজার করতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। গত ৬ মে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।