দাম শুনেই চমকে উঠছেন ক্রেতারা, বিক্রিও কম

ক্রেতারা আসছেন, দাম জানতে চাইছেন। ঘুরে ঘুরে বাজার যাচাই করছেন তারাছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

গরুর দাম কত? বিক্রেতার জবাব, ১ লাখ ৯০ হাজার। এই দাম শুনে কোনো কথা না বলেই চলে গেলেন ক্রেতা আশিকুর রহমান।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের শাহজাহানপুর হাটে আশিকুর রহমানের মতো অসংখ্য ক্রেতা দাম শুনেই চমকে উঠছেন। দর-কষাকষি তো দূরের কথা, পেছনে আর ফিরেও তাকাচ্ছেন না তাঁরা।

আশিকুর রহমান এই প্রতিবেদককে বললেন, ‘দাম শুনলে মনে হয় তাঁরা বিক্রির জন্য দাম চাচ্ছে না। এত বেশি দাম চাচ্ছেন যে পাল্টা দামও বলা যাচ্ছে না।’ যেই গরুর দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে, তা বড়জোর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হতে পারে বলে ধারণা এই ক্রেতার।

গরু বিক্রেতা কুতুব উদ্দিন অবশ্য বলছেন, তিনি বেশি দাম চাননি। অল্প লাভ হলেই ছেড়ে দিচ্ছেন। এই হাটে আসা ক্রেতাদের মনোভব এবার কেমন যেন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেলা বাড়তেই হাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। তবে দাম শুনেই ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছিলেন
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

আজ শুক্রবার বিকেলে এই হাটে দেখা যায়, দাম শুনে পালটা দাম না বলে চলে যাওয়া ক্রেতার সংখ্যা বেশি। বেলা তিনটা পর্যন্ত ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। বিকেল চারটা থেকে হাটে ক্রেতা আসতে শুরু করেছেন। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে বিক্রি হচ্ছে কম।

ক্রেতারা বলছেন, তাঁরা অপেক্ষা করছেন দাম কমে কি না। তাই পাল্টা দাম না বলে অপেক্ষা করছেন। আজ রাত পর্যন্ত কেমন বিক্রি হয়, তা দেখেই বোঝা যাবে কাল-পরশু দাম কমবে, নাকি বাড়বে।

জিনাইদহ হরিণাকুণ্ড উপজেলা থেকে দুটি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন শরিফুল আলম। এর মধ্যে বড় গরুটির দাম চাচ্ছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ক্রেতারা অবশ্য ১ লাখ ৮০ হাজার পর্যন্ত বলছেন, কিন্তু তিনি দিচ্ছেন না। একান্ত আলাপে এই বিক্রেতা প্রথম আলোকে বলেন, ২ লাখ টাকা হলে তিনি গরু বিক্রি করে দেবেন।

বেশি দামের কারণে বিরক্ত হয়ে বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আহসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ আর গরু কিনবেন না। দাম কমে কি না, সে জন্য অপেক্ষা করবেন।

রাজধানী ঢাকায় এবার কোরবানির পশুর ২০টি হাট বসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে।

উত্তর শাহজাহানপুর হাটের পাশে তিলপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। তাই কিছুটা কমে কি না, সেই অপেক্ষায় আছি।’