ফিলিস্তিনে গণহত্যা নিয়ে দৃকে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর ‘ওয়েস্টার্ন হিপোক্রেসি অন প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।ছবি: দৃক থেকে সংগৃহীত

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দৃক পিকচার লাইব্রেরি। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে ‘গাজা হলোকাস্ট: কিলিং দ্য ট্রুথটেলারস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনীর। ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাংবাদিকদের ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। এটি তত্ত্বাবধান করছেন এ এস এম রেজাউর রহমান।

প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর ‘ওয়েস্টার্ন হিপোক্রেসি অন প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর এবং শিক্ষক ও রাজনৈতিক পর্যালোচক জাহেদ উর রহমান। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আলোকচিত্রী এবং দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।

সভার শুরুতে শহিদুল আলম বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো গণতন্ত্রের কথা বলে মুখে ফেনা তোলে, তাদের কর্মকাণ্ড নিয়েই আজকের আলাপ। আমরা যখন কথা বলছি, তখনো অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। পাশ্চাত্যের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক কিছুই হজম করানো হয়।’

প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শণার্থীরা। প্রদর্শনীটি আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী।
ছবি: দৃক থেকে সংগৃহীত

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ বা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর মতো বড় পত্রিকার খবর আমরা সত্য বলে ধরে নিই। তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। সব গণমাধ্যমের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক আগ্রহ থাকে। পশ্চিমারা মানবাধিকারসহ নানা নিয়ম তৈরি করেছে, কিন্তু তারা নিজেরাই সেগুলো অনুসরণ করে না।’

মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমে সংকীর্ণতার ধারণা এত গভীরে প্রোথিত যে সেখান থেকেই তাদের এই দ্বিচারিতার উৎপত্তি। তাদের গণমাধ্যমের চরিত্র ও প্রকাশভঙ্গি বোঝার জন্য তাদের এসব বৈশিষ্ট্য বোঝা জরুরি।

সাংবাদিক নূরুল কবীর বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা যেমন পাকিস্তানিদের কাছে সন্ত্রাসী ছিল, তেমনিভাবে পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষগুলোও সন্ত্রাসী। এসব বিষয় রাজনৈতিকভাবে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।

পশ্চিমারা নানা কিছুর মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানগুলোর বয়ান তৈরি করে এবং সাধারণ মানুষের কাছে অনবরত প্রচারের মধ্য দিয়ে তাদের সম্মতি উৎপাদন করে।’

প্রদর্শনীটি আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী।