বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখীর আয়োজনে ‘জনক তুমি বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার, রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু সক্রিয় না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখীর আয়োজনে ‘জনক তুমি বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণসভায় এ কথা বলেন বক্তারা। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ২১টি বছর আমরা পরাধীন হয়ে ছিলাম। জিয়া ও এরশাদ বঙ্গবন্ধুকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে রেখেছিল। তাঁর নাম পর্যন্ত মুখে নেওয়া যেত না। বইপুস্তক থেকে তাঁর নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ বেতারের নাম বদলে দেওয়া হয়েছিল রেডিও বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁর কন্যার নেতৃত্বে সেই সোনার বাংলার দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছে গেছি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষুধা, দারিদ্র, অপরাধ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে শুধু মাথা উচু করে দাঁড়াবে, নেতৃত্ব দেবে। সেজন্যই বলি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য।’

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে রাজনীতি শেখার পরামর্শ দিয়ে শামসুল হক টুকু আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকে আমরা রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবিলা করেছেন। ছয় দফার মুক্তি সনদ দিয়ে ছাত্র, কর্মী, বুদ্ধিজীবী তো বটেই, সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যেও একটা জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতি একত্রিত হোক। এক সময় ৭ মার্চের ভাষণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নিরস্ত্র বাঙালিকেও ঐক্যবদ্ধ করেছেন।’

সভার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এর নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করে তাঁদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।’

এই আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সেলিম। আবৃত্তি করেন শাহাদাৎ হোসেন নিপু।