গোপীবাগে ট্রেনে আগুনে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনেরা

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় পুড়ে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেসফাইল ছবি

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ বুঝে পেল তাঁদের পরিবার। ঘটনার ৪০ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

মারা যাওয়া চারজন হলেন আবু তালহা (২৪), চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮), নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪০)।

ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)‌ ফেরদাউস আহ‌ম্মেদ বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে যাওয়া লাশগুলো দেখে শনাক্ত করার উপায় ছিল না। তাই লাশগুলোর দাবিদার স্বজনদের সঙ্গে পোড়া লাশের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে ক্রসম্যাচিং করা হয়। দাবিদারদের সঙ্গে লাশের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় আজ পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর লাশ বুঝে পেয়েছি। ট্রেনে যাতে এমন নাশকতার ঘটনা আর না ঘটে, কেউ যাতে আমার মতো স্বজন না হারায়, সে জন্য কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাই।’

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। যশোরের বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ট্রেনটির তিনটি কোচ পুড়ে যায়। মৃত্যু হয় চারজনের। দগ্ধ হন বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন