ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর, গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ

ফারহান মো. আরিফুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। রমনা থানা-পুলিশ পুরোনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতার নাম ফারহান মো. আরিফুর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ফারহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ছাত্রদল নেতা ফারহান কার্জন হল এলাকায় যান। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে আগে থেকেই চিনতেন। নাশকতার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছেন তিনি, এমন সন্দেহ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। হল শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা ফারহানের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। সে নাশকতার উদ্দেশ্যে এসেছিল। সে কার্জন হলের তালায় হাত দিয়েছিল। পরে আমরা তাকে ধরে দোয়েল চত্বরের পাশের যাত্রীছাউনির কাছে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। ফারহানকে হালকা মারধর করা হয়। আমরা আমাদের নেতাকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি ফারহানকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দিতে বলেন।’

ফয়সাল আহমেদের ভাষ্য অনুযায়ী, ফারহানকে আটক ও মারধরে জড়িত অন্য ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগের শহীদুল্লাহ হল শাখার সহসভাপতি মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক উপসম্পাদক আশিকুল আমিন এবং ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী শাওন চৌধুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাকসুদুর রহমান বলেন, ফারহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে ফারহানকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে রমনা থানায় পাঠানো হয়। পরে ওই থানার পুরোনো একটি মামলায় ফারহানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রমনা থানার উপপরিদর্শক আবদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফারহানকে শহীদুল্লাহ হলে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনার বিচার এবং অবিলম্বে ফারহানের মুক্তি দাবি করি।’