সায়েন্স ল্যাবে তিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঢাকা কলেজ, ৫ মার্চছবি : তানভীর আহাম্মেদ

পুরোনো ঘটনার জেরে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষ জড়িয়েছেন। দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ল্যাবএইড হাসপাতালের পেছনের সড়ক (গ্রিন রোড) হয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বেলা ২টার পরে স্বাভাবিক হয়।

নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা গন্ডগোল করছেন। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে তারা মাঠে রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর করেছেন। ওই দিন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজে সামনে এসে নামফলক খুলে নিয়ে গেছেন।

সেই ঘটনার জেরে আজ শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

পুরোনো ঘটনার জেরে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রাজীব রায় প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর ও আইডিয়াল কলেজের নামফলক খুলে আনার কারণে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমাদের শিক্ষকেরা বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই মাঠে ছিলাম। সব শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। তারপরও সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে। তাঁকে ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়েছে। আরও চার-পাঁচজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের কী অবস্থা, তা জানি না।

বেলা পৌনে ২টার দিকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের গেটের ভেতর প্রবেশ করিয়ে দেয় পুলিশ। বেলা ২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ এখনো রয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজকের ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীরাই আহত হয়েছেন।

আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় দুপুরে যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল
ছবি: প্রথম আলো

তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যেসব গণমাধ্যমকর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের ছবি ও ভিডিও করতে শিক্ষার্থীরা বাধা দিচ্ছেন। এ ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে একজন সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।