ভাষাশহীদ শফিউর ও ইসলামি চিন্তাবিদ সালাহ্ উদ্দিনের নামে সড়ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ছবি: সংগৃহীত

ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিনের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করেছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি ডিএসসিসির এক সভায় এই দুই ব্যক্তির নামে দুটি সড়কের নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণসংক্রান্ত গঠিত উপকমিটির ৮ ফেব্রুয়ারির সভার কার্যবিবরণীতে এ-সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।

ডিএসসিসি সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষা ভবন পর্যন্ত সড়কটির নতুন নাম করা হয়েছে ‘ভাষাশহীদ শফিউর রহমান সড়ক’। শফিউর রহমানের নামে সড়কের নামকরণের প্রস্তাব করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রাব্বানী।

অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর ফটক থেকে ডিআইটির এক্সটেনশন সড়কে বের হতে নির্মাণাধীন সড়কটির নাম ‘খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন সড়ক’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিনের নামে সড়কের নামকরণের প্রস্তাব করেছেন ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পুরান ঢাকার রঘুনাথ দাস লেনের বাসা থেকে সাইকেলে করে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন শফিউর। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবাবপুর রোডে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আগের দিনের পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল হয়।

এ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলি শফিউরের পিঠে লাগে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ সালে শফিউরকে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষাশহীদ শফিউরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ডিএসসিসির আওতাধীন একটি সড়কের নাম তাঁর নামে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রাব্বানী অনুরোধ করেছেন। এ অনুরোধের আলোকে সভার মাধ্যমে শফিউরের নামে একটি সড়কের নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়।

সভার কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন একজন দেশবরেণ্য আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিনের স্মৃতি সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে তাঁর নামে একটি সড়কের নামকরণের প্রস্তাব এলে সভা তা অনুমোদন করে।