মেট্রোরেল
ফাইল ছবি

রাজধানীর মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) তারে ঘুড়ি আটকে যাওয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টা (আপ লাইনে) চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসার এ অংশে আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিট থেকে ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। অবশ্য ডাউন লাইনে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পদস্থ এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে মেট্রোরেলের একজন যাত্রী বলেন, তিনি আজ সকাল ৯টা ১ মিনিটে উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকেন। ততক্ষণে ৯টার ট্রেন ছেড়ে গেছে। তিনি ৯টা ১০ মিনিটের ট্রেনে ওঠেন। কিন্তু সেই ট্রেনটি ছাড়ে আরও ১০ মিনিট পর, ৯টা ২০ মিনিটে। যেখানে আগারগাঁও যেতে সাধারণত ১২ থেকে ১৪ মিনিট লাগে, সেখানে আজ লেগেছে ২০ মিনিট।

ওই যাত্রী আরও বলেন, তাঁরা আগারগাঁও নেমে দেখেন, একই প্ল্যাটফর্মে উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের থেকে জেনেছেন, উত্তরাগামী লাইনটি বন্ধ থাকায় তাঁদের এখান থেকে ট্রেনে ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎ-চালিত। ঝুলন্ত তারের সঙ্গে ট্রেনের সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন হয়। এ ব্যবস্থায় ফানুস, ঘুড়ি, কাপড় কিংবা এ-জাতীয় বস্তু আটকে গেলে বিদ্যুৎ পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়, যা থেকে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, মিরপুর-১০ থেকে শেওড়াপাড়া অংশে প্রায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। অনেক সময় ঘুড়ি বা ঘুড়ির সুতা মেট্রোরেলের তারে জড়িয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই ঘুড়ি না ওড়াতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়েবসাইটসহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া ডিএমটিসিএলের অন্য কোনো উপায় থাকবে না। কারণ, মূল্যবান এ সম্পদের ক্ষতি হলে তো দেশেরই ক্ষতি।