ধূপখোলা মাঠ রক্ষায় মেয়রসহ ১০ জনকে আইনি নোটিশ

ধূপখোলা মাঠে মার্কেট তৈরি করা হচ্ছে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠ রক্ষায় অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ভূমিসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশসচিবসহ ১০ ব্যক্তি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির পক্ষে আজ রোববার এই নোটিশ পাঠানো হয়।ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

নোটিশে মাঠটি জনস্বার্থে মাঠ হিসেবে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অননুমোদিত ও বেআইনিভাবে শুরু হওয়া মার্কেট নির্মাণের সব কার্যক্রম বন্ধ করে মাঠটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।

বেলা ছাড়া নোটিশদাতাদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মধ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নিজেরা করি, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ, গ্রিনভয়েস ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রয়েছে। সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির পক্ষে বেলার প্রধান নির্বাহী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বেলা জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ৭ দশমিক ৪৭ একর আয়তনবিশিষ্ট ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠ ঢাকা মহানগরীর সর্ববৃহৎ মাঠ। এ মাঠে পুরান ঢাকার সাতটি থানা এলাকার শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা করে। ২০১৬ সালে মাঠে একটি বাণিজ্যিক শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। বাধ্য হয়ে গণশুনানির আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। গণদাবির মুখে বাণিজ্যিক শিশুপার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও বর্তমানে মাঠটিতে গ্যালারিসহ খেলার মাঠ ও শিশুকর্নার এবং একটি বহুতল মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। প্রবল জন–আপত্তি ও আন্দোলনের ফলে প্রকল্পের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখলেও ২০২১ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মাঠের ভেতর রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে একটি বহুতল ভবন মার্কেট তৈরির কাজ শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, এটি মাঠ ‘উন্নয়ন’ উদ্যোগের অংশ। এই মার্কেটের কারণে মাঠের শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ জায়গা কমে যাবে।

যাঁদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর–পরিকল্পনাবিদ, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর