সাঈদীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া চিকিৎসককে হুমকিদাতা তাফসিরুল ছাত্রশিবিরের সদস্য: র‍্যাব

বিএসএমএমইউয়ের অধ্যাপক মোস্তফা জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তাফসিরুল ইসলাম
ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তাফসিরুল ইসলাম (২৩) ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

বাহিনীটি বলছে, তাফসিরুল দলীয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ, ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

আরও পড়ুন

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার তাফসিরুল ঝিনাইদহের একটি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাতে মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া বিএসএমএমইউয়ের অধ্যাপক মোস্তফা জামান প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগে পরদিন মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অধ্যাপক মোস্তফা জামান তাঁর মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রাণনাশের হুমকি পান। এ ঘটনায় জিডি করার পর র‍্যাব তদন্তে নেমে তাফসিরুলকে শনাক্ত করে এবং গতকাল বুধবার রাতে ঝিনাইদহের মহেষপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, তাফসিরুল স্কুলজীবন থেকেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি অনলাইনে ই–মার্কেটিংয়ের কাজ করেন। তাফসিরুলের বাবা রফিকুল ইসলাম এলাকায় জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক মামলা হয় এবং সেসব মামলায় তিনি কারাভোগ করেন।

আরও পড়ুন

তাফসিরুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দ্বারিয়াপুর, মহেশপুর#তাফসিরুল ইসলাম” ও “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দ্বারিয়াপুর, মহেশপুর ওরফে তাফসিরুল ইসলাম” নামে দুটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত তিনি দলীয়, রাজনৈতিক মতাদর্শ, ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রোশ থেকে জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া চিকিৎসক মোস্তাফা জামানের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর খুঁজে বের করেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। অধ্যাপক মোস্তফা জামান এ নিয়ে থানায় জিডি করলে তাফসিরুল হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ম্যাসেজ মুছে ফেলেন।

চিকিৎসক মোস্তফা জামানের অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আরও পড়ুন