পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যা এবং ক্যাম্পাসসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা চাঁদাবাজি, হত্যা ও লুটতরাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার, মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার মোড় ও তাঁতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘মিটফোর্ডে হত্যা কেন, তারেক রহমান বিচার চাই’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘বিএনপির এক গুণ, দশ মাসে এক শ খুন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে মিছিলটি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নৃশংসভাবে পাথর নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ীকে যুবদলের নেতারা হত্যা করেছে। সারা দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। জুলাইয়ে আমরা যেভাবে নেমে এসেছিলাম, আমরা আবার নেমে আসব। কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাংলাদেশের মাটিতে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হতে দেওয়া হবে না।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘যুবদলের নেতা–কর্মীরা কিছুদিন আগেও বিয়ে দিতে না চাওয়ায় একটি মেয়ের বাবাকে হত্যা করেছে। আবার গতকাল মিটফোর্ডের সামনে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদলের নেতা কর্মীরা। আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো দেখার জন্য ৫ আগস্ট ঘটাই নাই। চাঁদাবাজদের কোন ঠিকানা এই বাংলায় হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। স্বৈরাচারের পতনের পর সেই সুন্দর বাংলাদেশের আশাকে ধূলিসাৎ করে দেয় বিএনপির বিভিন্ন কার্যকলাপ। আমরা বিএনপির চাঁদাবাজি, হত্যা, লুটতরাজ বন্ধের জন্য জোর দাবি জানাই।’