‘নারী নেতৃত্বে দক্ষতা অপরিহার্য’
দুর্যোগকালে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ কম। অন্যদিকে নারীনেত্রীদের অবস্থান তৈরি করতে হলে তাঁদের নিজেদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ও যৌন সহিংসতা মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি–সহায়ক সৃজনশীল প্রযুক্তি প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া দুই দিনের সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনায় উঠে আসে এসব কথা। মানবিক সহায়তাকাজে যুক্ত নারী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।
রাজধানীর মিরপুরে আলোক এম জে এফ টাওয়ারে শুরু হওয়া এ সম্মেলনের সহযোগিতায় আছে বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম। আজ সকালে শুরু হওয়া আয়োজনে প্রথমে বক্তব্য দেন নারীনেত্রীরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্নার কথায় উঠে আসে মানবিক নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার কথা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, দুর্যোগকালে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তাঁদের অংশগ্রহণ কতটুকু, তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি নেতৃত্বের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান বলেন, ‘নারীনেত্রীদের মনে রাখা উচিত, নিজেদের জায়গা তৈরি করতে হলে দক্ষতার বিকল্প নেই। সবার আগে চাই নিজের কাজের প্রতি স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততার আদর্শ।’
অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক মাহমুদা সুলতানা বলেন, নেতৃত্বের জন্য আরও সহজ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের কথা।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে মানবিক দিক থেকে নারীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গ, নেতৃত্বে নারীর চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীর দক্ষতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রসঙ্গে আলোচনা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমি।
আগামীকাল বুধবারও বিভিন্ন আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন হাওর, পার্বত্য অঞ্চল, উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নারীনেত্রীরা। সকালে খোলা গলায় ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।