কারা চাঁদাবাজি করছে, সেই তথ্য চাইলেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীছবি: ডিএমপির সৌজন্যে

চাঁদাবাজিকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা চাঁদাবাজি করছে, সেই তথ্য পুলিশকে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলার জন্য সমাজের প্রতিটি অঙ্গসংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের তথ্য আমাদের সরবরাহ করুন। চাঁদাবাজির জন্য নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চাঁদাবাজি ঠেকানোর জন্য আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব। আমরা চাঁদাবাজদের একটি হালনাগাদ তালিকা তৈরি করছি। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ‘পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের’ সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ছিনতাই অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমার কাছে যে রিপোর্ট, তাতে দেখা যায় ছিনতাই অনেক বেড়ে গেছে। অধিকাংশই ছিনতাই হচ্ছে মুঠোফোন। বাসে যাত্রী বসে থাকে, ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মুঠোফোন ছিনতাই হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। যাঁরা মাদক সেবক, তাঁদের টাকার অভাব হলে আবার ছিনতাইয়ে গিয়ে যুক্ত হন।’

পুলিশের বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) মামলা রেকর্ডের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যত খুশি মামলা হয় হোক, সেই দায়িত্ব আমি নেব; কিন্তু কোনো নাগরিক, কোনো মানুষ এসে যেন না বলেন, “মামলা নিল না।” এ রকম ঘটনা যেন না ঘটে।’

যানজট প্রসঙ্গে ফুটপাতের হকারদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ—সংযতভাবে হকাররা ফুটপাতে থাকুন। আমার ট্রাফিক যাতে কোনোভাবে ডিস্টার্ব (বিরক্ত) না হন। সবই যদি আপনারা দখল করে নেন, তাহলে শহরে যাঁরা বাস করেন, তাঁরা হাঁটারও সুযোগ পাবেন না। আমার ট্রাফিক ডিস্টার্ব হবে, অতটা তো ছাড় দিতে পারব না।’

রাস্তায় সভা–সমাবেশ করলে যানজট সৃষ্টি হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে উল্লেখ করে মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে করা উচিত।’

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম। আরও বক্তব্য দেন, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ অনেকে।