রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে ও ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বিবেচনা করে নতুন দীর্ঘমেয়াদি রপ্তানি নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব। আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ও দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।’

আজ সোমবার গণভবনে রপ্তানিসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর আমাদের লক্ষ্য হবে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।’

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এ সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে খাদ্যসামগ্রী আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করতে পারতাম। আমরা এর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন করে এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

রপ্তানি নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতে গ্রহণের পর, আমরা এক বছরের রপ্তানি নীতির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি রপ্তানি নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্জনগুলো ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের কোনো বিকল্প নেই।’

নতুন বাজার খোঁজার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস, তৈরি পোশাক, ওষুধ, হালকা ও মাঝারি ওজনের শিল্প, মোটরযান এবং ইলেকট্রনিক মোটর গাড়ির কথা উল্লেখ করে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।