ধানমন্ডি লেক যেন ব্যবসাকেন্দ্র

  • ইজারাদারেরা শর্ত মানেন না।

  • পার্কটির বিভিন্ন জায়গা আবর্জনায় ভরা।

  • সিটি করপোরেশনের আয় তিন কোটি টাকা।

ধানমন্ডি এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র উন্মুক্ত জায়গা এই লেক। একাধিক রেস্তোরাঁ ঘিরে যত্রতত্র চেয়ার-টেবিল বসানোর কারণে হাঁটার পরিবেশ নেই
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের ভেতরে রবীন্দ্রসরোবরের পাশে একটি খাবারের দোকান। নথিপত্রে নাম ‘ফুড ভ্যান’, থাকতে পারবে একসঙ্গে চারটি। তবে সেগুলো আসলে ভ্যান নয়, স্থায়ী কাঠামোতে তৈরি রেস্তোরাঁ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গিয়ে দেখা গেল, রেস্তোরাঁটির শ খানেক টেবিলে বসে আছেন কয়েক শ মানুষ। কেউ খাবার খাচ্ছেন, কেউ অপেক্ষায়।

এই রেস্তোরাঁর ইজারা দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ওরফে হিরুকে। গত জুলাইয়ে তিনি ধানমন্ডি লেকে চারটি ‘ফুডভ্যান’সহ তিনটি রেস্তোরাঁ ইজারা পান। তাঁর কাছ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজস্ব পেয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ টাকা।

লেকটিকে সাতটি সেক্টরে ভাগ করে ছয়টি সেক্টর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ইজারা দিয়েছে দক্ষিণ সিটি। চলছে ১৩টি রেস্তোরাঁ।

ধানমন্ডি লেককে সাতটি সেক্টরে ভাগ করে ছয়টি সেক্টরকে এভাবে ইজারা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ইজারাপ্রাপ্ত ছয়জনই আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা। ছয়টি সেক্টরের অধীনে লেকে পরিচালিত হচ্ছে ১৩টি রেস্তোরাঁ। অভিযোগ উঠেছে, যেসব শর্তে তাঁদের ইজারা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা তা মানছেন না। অন্যদিকে লেকটি দিন দিন পরিণত হচ্ছে ব্যবসাকেন্দ্রে।

ধানমন্ডি এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র উন্মুক্ত জায়গা এই লেক। কিন্তু সাধারণ মানুষ বলছে, লেকে ঘাস-আচ্ছাদিত জায়গা কমে গেছে। বিভিন্ন জায়গা এখন ময়লা-আবর্জনায় ভরা থাকে। যত্রতত্র চেয়ার-টেবিল বসানোর কারণে হাঁটার পরিবেশ নেই। লেক এলাকায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মাদক সেবন করতে দেখা যায়। এমনকি নিরাপত্তার ঘাটতিও তৈরি হয়েছে।

ধানমন্ডি লেকে গত ২২ অক্টোবর রাতে খুন হন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন মজুমদার (৫১)। পুলিশ বলছে, এই খুনে জড়িত ছিনতাইকারীরা। অন্যদিকে এলাকাবাসীর দাবি, লেক ঘিরে একাধিক কিশোর গ্যাং তৎপর।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ১৯৯৬ সালে ধানমন্ডি লেকে উন্নয়নকাজ শুরু করে। লেকের উন্নয়নকাজের নকশা করে স্থপতি ইকবাল হাবিবের নেতৃত্বে একটি দল। ইকবাল হাবিবের কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি লেকটিতে সম্প্রতি গিয়েছিলেন কি না, জবাবে তিনি বলেন, ‘(ধানমন্ডি লেকে) মাস ছয়েক আগে গিয়েছিলাম। জঘন্য অবস্থা। মাথা নিচু করে চলে এসেছি।’ জঘন্য অবস্থা কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধানমন্ডি লেকটিকে চরিত্র বদল করে বাণিজ্যিক স্থাপনায় পরিণত করা হয়েছে।

[ধানমন্ডি লেকে] মাস ছয়েক আগে গিয়েছিলাম। জঘন্য অবস্থা। মাথা নিচু করে চলে এসেছি।
ইকবাল হাবিব, ধানমন্ডি লেকের নকশাকারী দলনেতা

লেকের ইতিকথা

ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী বইয়ে বলা হয়েছে, ধানমন্ডিতে মোগল আমলে বসতি খানিকটা ছিল। সেখানে বড় একটি হাট বসত। হাটে ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রি হতো। সেখান থেকেই ধানমন্ডি নামটির উৎপত্তি। হাকিম হাবিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বইটিতে আরও বলা হয়, তিনি ওই এলাকার ঈদগাহের পেছনে একটি জীর্ণ পুল দেখেছিলেন। তাঁর মতে, এই পুল প্রমাণ করে যে পাণ্ডু নদীর একটি শাখা এখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়ত। উনিশ শতকের শুরুতে হয়তো সেটি শুকিয়ে গিয়েছিল। হাট হিসেবেও ধানমন্ডির গুরুত্ব কমে যায়। পরে এলাকাটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে। পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে অভিজাতদের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে ধানমন্ডি।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ঢাকা কোষ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ষাটের দশকে ধানমন্ডি লেকটি ঝিল হিসেবেই ছিল। পরবর্তীকালে সেটি সংস্কার করে ধানমন্ডি লেক হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই লেকের প্রায় ৮৬ একর জায়গা রয়েছে। এর ৩১ একর স্থলভাগ। ৫৫ একর জলভাগ।

লেকটি পড়েছে দক্ষিণ সিটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম জানান, ওয়ার্ডটিতে ৭৮ হাজারের মতো ভোটার রয়েছেন। বাস করেন চার লাখের মতো মানুষ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনের খামখেয়ালির কারণে ধানমন্ডি লেক ঠিক রাখা যাচ্ছে না। সেখানে দলীয় লোকদের রেস্তোরাঁ ইজারা দেওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। চেয়ার বসানোর কথা ১০টি। তাঁরা বসিয়েছে ২০০টি।

দক্ষিণ সিটি সূত্র জানায়, ধানমন্ডি লেক ইজারা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। তবে তখন খাবার দোকানগুলোর পরিসর এত বড় ছিল না।

ইজারায় যাঁরা

ধানমন্ডি লেকের সাতটি সেক্টরের ছয়টি ইজারার পর বাকিটি (৬ নম্বর) ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইজারা বলতে শুধু খাবারের দোকান নয়, জল ও স্থলভাগকে বোঝানো হয়েছে। ইজারার শর্তে বলা হয়েছে, বিদ্যমান অবকাঠামো ও স্থাপনার (লেকের অংশসহ) প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ইজারদারকে পরিচালনা করতে হবে।

নথিপত্রে দেখা যায়, ধানমন্ডি লেকের ১ নম্বর সেক্টর হচ্ছে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর (নতুন ১৬) সড়ক থেকে ধানমন্ডি ৩২ (নতুন ১১) নম্বর সড়কের সেতু পর্যন্ত এলাকা। এই সেক্টরে ‘সাম্পান’ নামের খাবারের একটি দোকান রয়েছে। এটি ইজারা পেয়েছেন দক্ষিণ সিটির ১৫ নম্বর (ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন ওরফে স্বপন।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর (নতুন ১১) সেতু থেকে মিরপুর রোডের শেখ রাসেল স্কয়ার হয়ে শেখ রাসেল শিশু পার্কসহ কলাবাগান মাঠের উত্তর সীমানা পর্যন্ত এলাকাটি ২ নম্বর সেক্টর। এখানে বজরা নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। আরও আছে একটি গণশৌচাগার এবং শেখ রাসেল শিশুপার্ক। বাণিজ্যিকভাবে এসব রেস্তোরাঁ ও পার্ক পরিচালনা করতে দেওয়া হয়েছে মোজাম্মেল হক ভূঁইয়াকে, যিনি ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর (নতুন ১১) সেতু থেকে ধানমন্ডি ১৬ (নতুন ১২ এ) নম্বর সড়কের সেতু পর্যন্ত জায়গাটি ৩ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরে ‘হৈচৈ’ নামে আরেকটি রেস্তোরাঁ হয়েছে। আরও রয়েছে ‘ফুচকাবাড়ি’ ও ‘কাবাব ঘর’ নামের খাবারের দোকান। জায়গাটি আগে খোলা ছিল। সেখানে মানুষ হাঁটত, তরুণেরা খেলাধুলা করত। এখন সেখানে রেস্তোরাঁ ও খাবার পরিবেশনের জন্য চেয়ার-টেবিল বসানো থাকে। এটি ইজারা পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম।

ধানমন্ডি ১৬ নম্বর সড়কের (নতুন ১২ এ) লেকের পশ্চিম দিকের সংযুক্ত সড়ক থেকে ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কের সেতু পর্যন্ত ৪ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরে ‘ডিঙি’ নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এই সেক্টরের ইজারা পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনিক আহমেদ। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (সাধারণ ওয়ার্ড-১৪, ১৫ ও ১৮) নারী কাউন্সিলর শিরিন গাফ্ফারের ছেলে।

লেকের ৫ নম্বর সেক্টরে ‘পানসি’ নামের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধানমন্ডি ৮ নম্বর সেতু থেকে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের পেছনের প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত এই সেক্টর। ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ ওরফে দুলালের কাছে এই সেক্টরের ইজারা দেওয়া হয়েছে।

ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কের সেতু থেকে সাতমসজিদ সড়কের দুটি অংশ তথা সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীত পাশ পর্যন্ত এবং বিজিবি ফটক থেকে বিপরীত পাশ পর্যন্ত এলাকাটি ৭ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরের আয়তন অন্যান্য সেক্টর থেকে অনেক বড়। এখানে তিনটি বড় রেস্তোরাঁ—‘পাতাম’, ‘গয়না’ ও ‘নায়রী’ এবং একাধিক ফুডকোর্ট রয়েছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এটির ইজারা পেয়েছেন ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম রাব্বানি।

আয় তিন কোটি

দক্ষিণ সিটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধানমন্ডি লেকে ইজারার মাধ্যমে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার কিছু বেশি আয় করেছে, যা করপোরেশনের মোট রাজস্বের (২০২১-২২) শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।

দক্ষিণ সিটির প্রধান রাসেল সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, ধানমন্ডি লেকের নকশায় যেসব স্থাপনা ছিল, এখনো সেই স্থাপনাই রয়েছে। এখানে নতুন করে কোনো স্থাপনা তৈরি করা হয়নি। নকশায় থাকা স্থাপনাগুলো ইজারার আওতায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে এই লেকে নতুন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে শৃঙ্খলা ফেরানো হয়েছে।

অবশ্য স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, নকশায় শুধু পানসি রেস্তোরাঁটি ছিল। বাকিগুলো ছিল কফিশপ। সেগুলো কতটুকু পরিসর নিতে পারবে, সেটা নির্দিষ্ট ছিল এবং তা ছিল খুবই সীমিত। এখন সেখানে পুরোদস্তুর রেস্তোরাঁ তৈরি করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূল নকশা আমার কাছে আছে।’

শর্তও মানে না তারা

সরেজমিন ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যায়, লেকের রেস্তোরাঁগুলো ক্রেতা আকর্ষণ করতে নিজেদের আঙিনা পরিষ্কার রেখেছে। তবে আশপাশের এলাকা ময়লা-আবর্জনায় ভরা। লেকের পাড়ে ও পানিতে খাবারের প্যাকেট, বোতল ও পলিথিনের ব্যাগ ইত্যাদি আবর্জনা পড়ে আছে। লেকের পাড়ে ঘাস নেই। আরও দেখা যায়, রেস্তোরাঁগুলো মূল কাঠামোর বাইরে ইস্পাত ও টিনের ছাউনি দিয়ে নিজেদের মতো করে সম্প্রসারণ করে নিয়েছে। সেখানে রান্নাবান্নার কাজ চলে। পার্কের খোলা জায়গায় শত শত চেয়ার ও টেবিল বসিয়ে বড় জায়গা খাবারের কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মী চোখে পড়েনি।

শর্ত ভঙ্গ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ৭ নম্বর সেক্টরের ইজারাদার গোলাম রাব্বানি বলেন, অসংগতি থাকলে দক্ষিণ সিটি এ নিয়ে কথা বলবে।

আইন কী বলে

শুধু ধানমন্ডি লেক নয়, নগরের আরও কিছু উন্মুক্ত জায়গাকে ইজারার আওতায় আনছে দক্ষিণ সিটি। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে খাবারের দোকানের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারার শর্তে সেখানে তিন চাকার একটি ‘ফুড ভ্যান’ থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে স্থায়ী অবকাঠামো করেছেন ঠিকাদার।

উন্মুক্ত এলাকা রক্ষায় দেশে একটি আইন আছে। নাম ‘মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০’। এই আইনে বলা আছে, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এসব জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না বা ব্যবহারের জন্য ইজারা দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মনে করেন, ধানমন্ডি লেকে যা হচ্ছে তা আইনটির চেতনার দিক দিয়ে ব্যত্যয়। তিনি বলেন, নগর ব্যবস্থাপনায় যাঁরা আছেন, তাঁরা এসব উন্মুক্ত স্থানকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিবেচনায় বাণিজ্যিক করে ফেলছেন। এই লেককে তাঁরা রাজনৈতিক কর্মীদের পুনর্বাসনের একটা জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।