শ্যামলীর সেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর শ্যামলীতে চাপাতির ভয় দেখিয়ে এক যুবকের মুঠোফোন, মানিব্যাগের সঙ্গে শার্ট-জুতা খুলে নেওয়ার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং ভোলার চরফ্যাশন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আল আমিন (২৮), আসলাম শিকদার (২৯) ও কবির (২২)।

ডিবি জানায়, তাঁদের মধ্যে আসলাম ও আল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আর কবির এই ছিনতাইকারী গ্রুপের অন্যতম নেতা। তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনকারী ডিবি তেজগাঁও বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনারে মুহাম্মদ রাকিব খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই জহির গ্রুপের সদস্য। জহির ছিনতাইয়ের জন্য মোটরসাইকেল ও চাপাতি ভাড়া দেয়। চার হাত ঘুরে মোটরসাইকেলটি কেনেন জহির ও কবির। কিন্তু তাঁদের নামে কোনো কাগজপত্র নেই। গ্রেপ্তার আসলাম ও আল আমিনের নেতা কবির। তাঁরা ছিনতাই করা মালামাল এনে কবির ও জহিরের কাছে জমা দিতেন। তবে আসলাম ও আল আমিন ডাকাতিও করেন।

ডিবি কর্মকর্তা রাকিব খান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাত তিনটার পর মূল সড়ক বাদ দিয়ে ভেতরের সড়কে ছিনতাই করতেন।

১১ জুলাই সকালে শ্যামলী ২ নম্বর সড়কে শিমিয়ন ত্রিপুরা নামের এক যুবক ছিনতাইয়ের শিকার হন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিল পুলিশ। তারা ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে শিমিয়নের ছিনতাই হওয়া শার্ট ও জুতা উদ্ধার করেছে। তবে শিমিয়নের মুঠোফোনটি উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা সেটি দলনেতা জহিরের কাছে দিয়ে দেন।

এ ঘটনার পরদিন ১২ জুলাই শেরেবাংলা নগর থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা হয়। পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শিমিয়ন ত্রিপুরা ধামরাইয়ে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, থাকেন শ্যামলীতে। ঘটনার দিন সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য শ্যামলীর বাসা থেকে বেরিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।

আরও পড়ুন