প্রতিটি ঈদ জামাত ঘিরে রয়েছে আলাদা আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ঢাকা, ৯ এপ্রিল ’২৪ছবি: বাসস

জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘ্ন চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাত ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত মুসলিম দেশের কূটনীতিকেরা ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এই মাঠে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশি কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ঈদগাহ ঘিরে গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সব মসজিদ ও ঈদগাহে জামাত ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ড্রোন প্যাট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারশন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাঁদের নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে।

যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সব যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও উপপুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।