‘অটোমেটিক আর্থকোয়েক ডিটেক্টর’ নামের যন্ত্র এই তরঙ্গ শনাক্ত করবে। তরঙ্গ শনাক্তের পর যন্ত্র জোরালো শব্দের মাধ্যমে তা মানুষকে জানিয়ে দেবে। শহরের ভবনের ছাদে ছোট এই যন্ত্র থাকবে। ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে শব্দ শুনেই সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারে। তারা এমন একটি শহরের পরিকল্পনাও তুলে ধরেছে, যা সম্পূর্ণ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে চলবে।
উদ্বোধনীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বিসিএসআইআরকে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষ্ঠান বলে মনে করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনে করেন, বিসিএসআইআরকে দিয়ে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। সেই চিন্তা থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, এখানে যত বিজ্ঞানী আছেন, তাঁদের দিয়ে ১০টা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যায়। শিক্ষকদের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি নোট নিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিকতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আ ফ ম রুহুল হক বলেন, ‘অনেকে এখন আইটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে বসেই টাকা আয় করছে। ১০ হাজার টাকা খরচ হয় প্রশিক্ষণ নিতে। তারপর তারা মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারে। অথচ যে ছেলে বিএসসি পাস করেছে, সে চাকরি পাচ্ছে না।’
করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করায় বিসিএসআইআরকে ধন্যবাদ জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমাদের বর্তমান বাস্তবতায় বেশি উপযোগী, পরিবেশবান্ধব, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য, সুলভ মূল্যের শিল্পপণ্যের উদ্ভাবন করতে হবে। তাহলে তা দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়ক হবে। সে জন্য গবেষণার বিষয় নির্ধারণের সময় বর্তমান প্রয়োজনকে যথাযথ মূল্যায়ন করা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী ‘স্মার্ট ইকোনমির’ কথা বলেছেন উল্লেখ করে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, ‘স্মার্ট ইকোনমি তখনই হবে, যখন টেকসই উন্নয়ন হবে।’