ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে নীতিমালা করার তাগিদ

আইপিডিএস আয়োজিত ‘বৈচিত্র্য, আদিবাসী, যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার’ শীর্ষক এই সেমিনারে আলোচকেরা
ছবি: সংগৃহীত

পাহাড় ও সমতল অঞ্চলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি তাঁরা এ–সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করারও তাগিদ দিয়েছেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর সিবিসিবি সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ তাগিদ দেন।

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ফ্রি ইউনিভার্সিটির সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা ইনডিজিনাস পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস (আইপিডিএস) সেমিনারটির আয়োজন করে।

‘বৈচিত্র্য, আদিবাসী, যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার’ শীর্ষক এই সেমিনারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপক ইন্দ্রানী দেবনাথ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একটি কল সেন্টার সেবা আছে (১৬৭৬৭)। যে কেউ এই নম্বরে ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার, মাতৃত্বকালীন সেবা, গর্ভধারণ থেকে শুরু করে ডেলিভারিতে যত্ন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন।

মূল বক্তব্যে আইপিডিএসের সমন্বয়কারী তুলি লাবণ্য ম্রং বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীর মূল সমস্যা হলো যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে পরিবার ও সমাজে আলোচনা না করা। এই বিষয় নিয়ে সমাজে সংকোচ ও দ্বিধা করা। আদিবাসী সমাজকে এই বিষয়ের গুরুত্ব নিয়ে সচেতন করতে হবে।

সেমিনারে ডাচ প্রতিষ্ঠান রেড অরেঞ্জের ব্যবস্থাপক রুহান শামা বলেন, তাঁর সংস্থা যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার নিয়ে কাজ করছে এবং সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইপিডিএসের প্রধান সঞ্জীব দ্রং বলেন, এই প্রকল্পের বড় অর্জন হলো আদিবাসীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র কারিকুলাম তৈরি করা। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরও একটি নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছে, যেখানে প্রথমবারের মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সেমিনারে পোশাক খাতের কর্মী মিঠু রংদী বলেন, ‘যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে ট্রেনিং পেয়ে অনেক উপকার পেয়েছি। অন্যদের মধ্যে কথা বলেন আইএলও প্রতিনিধি এ্যানি দ্রং, পোশাককর্মী চুমকি গমেজ। চাকমা, গারো, খাসিয়া, সাঁওতাল, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।