ঢাবি, বুয়েট ও ঢামেক ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধনে বিশেষ অভিযান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল–সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদে আনন্দবাজার মোড় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এই বিশেষ অভিযান বাস্তবায়ন করে। এতে সহযোগিতা করে সংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
সকাল ছয়টায় শুরু হওয়া এ বিশেষ অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১ হাজার ৩০০ কর্মী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ডাকসুর সদস্যরা অংশগ্রহণ নেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে নালা–নর্দমা, ফুটপাত ও ক্যাম্পাসে জমে থাকা ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও নাগরিক—সবার সমন্বিত কাজ করার একটি সুন্দর উদাহরণ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে অপরিহার্য। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আরও ভালো ফলাফল পাব।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো আমাদের ক্যাম্পাসসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখতে বহিরাগত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ থেকে আমরা একসঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।’
ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতার ওপর জোর দেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘ডাকসু ও সিটি করপোরেশনের এই যৌথ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এ উদ্যোগ তখনই সফল হবে, যখন আমরা সবাই পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলব।’