নয়াপল্টনে পুলিশের সতর্ক পাহারা, মিছিল ছাত্রলীগের

নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে সরকারদলীয় নেতা–কর্মীদের মিছিল
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় রাস্তা খুলে দেওয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বিএনপির নেতা–কর্মীরা যাতে এ এলাকায় অবস্থান‌ নিতে না পারেন, সে জন্য কিছুক্ষণ পরপর টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও বিনা বাধায় নয়াপল্টনে মিছিল ও মহড়া করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা। পল্টন থানা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল ও মহড়া দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে নয়াপল্টন এলাকায় সড়ক বন্ধ রাখাকালীন নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সমাবেশ সফল করতে মিছিল ও স্লোগান দিয়েছিলেন দলটির সমর্থকেরা। তখন পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করে। একপর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় দুই দিকের সড়ক খুলে দেওয়ার পর বিএনপির কয়েক শ নেতা–কর্মী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করার এবং স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের সতর্ক অবস্থান এবং ধাওয়ার কারণে তাঁরা পিছু হটেন।‌ এর কিছুক্ষণ পরই ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে সড়কে বের হন।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল।‌ এর পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরাও রয়েছেন। বিএনপির কার্যালয়ের উল্টা পাশের সড়কে উৎসুক জনতা ও রিকশাচালকেরা অবস্থান করছেন।

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিকে টহল গাড়ি ও প্রিজন ভ্যান রাখা আছে।‌ নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়েও সাঁজোয়া যান রাখা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা নেই। দলের পদস্থ কোনো নেতাকে কার্যালয়ের সামনে দেখা যায়নি।

এদিকে গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। আজও বিএনপির নেতা–কর্মীরা কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়েছে।  

১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপি সমাবেশ করতে চায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে। পুলিশ নিরাপত্তার কারণে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিতে চায় না। তাদের রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ কয়েকটি জায়গায় সমাবেশ করতে বলেছে পুলিশ। বিএনপি তা চায় না।