চাকরি খুঁজতে বেরিয়ে লাশ হলেন সড়কে
সবুর খান (৫৫) বের হয়েছিলেন চাকরির খোঁজে। কিন্তু ফিরলেন সড়ক দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে। আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের নাবিস্কো মোড়ে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
সবুর খান নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাগর শাহরিয়ার। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সবুর খান রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
সবুর খানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি সপরিবার রাজধানীর মগবাজারের নয়াটোলা চেয়ারম্যান গলিতে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বিমানবন্দর থানার মুসুরিয়া গ্রামে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সবুর খানের স্ত্রী মোছা. তাসলিমা খানম। বিলাপ করে তিনি বলছিলেন, তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দেন। এর পর থেকে তিনি (তাসলিমা) চাকরি করে সংসার চালাচ্ছিলেন।
তাসলিমা বলেন, আজ সকালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিষয়ে কথা বলতে নাবিস্কো এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন সবুর খান। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তাঁর কাছে কোনো মুঠোফোন ছিল না।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নাবিস্কো এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানোর কথা জানতে পারেন তাসলিমা। পরে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বামীকে আহত অবস্থায় পান তিনি। সবুর খানের এক ছেলে। তিনি ধানমন্ডির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগে পড়েন।