রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে শাহরিয়ার কবির নামের এক প্রকৌশলী নিখোঁজ হয়েছেন নাকি আত্মগোপনে গিয়েছেন, সেটির সুরাহা হয়নি। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, প্রেমের কারণে পরিবারের প্রতি অভিমান করে তিনি আত্মগোপনে গিয়েছেন। তবে এর বাইরে আরও কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শাহরিয়ার নিখোঁজ উল্লেখ করে গতকাল সোমবার শাহরিয়ারের মা রাশিদা আকতার তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেখানে বলা হয়, শাহরিয়ার মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তিনি রোববার বিকেলে অফিস থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছেন—তদন্তে এমন বিষয়কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক নারীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য নারীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। এতে তিনি কয়েক দিন ধরে হতাশ ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ কারণে তিনি আত্মগোপন করে থাকতে পারেন। তবে তাঁর অফিসে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল কি না—এসব বিষয়কেও তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মওদুত হাওলাদার আরও বলেন, গত রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো থেকে বের হন প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির। ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি একাই হেঁটে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন। তাঁকে খুবই হতাশ দেখাচ্ছিল। যাওয়ার সময় তিনি মুঠোফোন, ল্যাপটপসহ সব ধরনের ডিভাইস অফিসে রেখে গেছেন।
লালবাগের আজিমপুর এলাকায় মাসহ থাকতেন শাহরিয়ার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ কৌশল বিভাগে পড়াশোনা শেষে মেট্রোরেল প্রকল্পে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শাহরিয়ারের মা রাশিদা আক্তারের মুঠোফোনে আজ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল সন্ধ্যায় তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, রোববার সকালে শাহরিয়ার কবির কর্মস্থলে যান। এদিন বিকেল থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।