দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা—অনুসন্ধানে পুলিশ

মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পোড়া বাসগুলো দেখতে যানছবি: দীপু মালাকার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধার্মিকপাড়া এলাকায় একটি গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত নাশকতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস প্রথম আলোকে বলেন, আগুনের ঘটনাটি দুর্ঘটনাও হতে পারে, আবার নাশকতাও হতে পারে। দুটি বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আগুন লাগার ঘটনাটি তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লন্ডন পরিবহনের মালিকানায় অংশীদার কয়েকজন। এই আগুনের বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারছেন না। তবে এটি নাশকতা বলে তাঁরা মনে করছেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ‘শর্টসার্কিট’ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ধার্মিকপাড়ার ওই গ্যারেজের একদিকে রাস্তা এবং অন্য তিন দিকে জলাভূমি। পুরো গ্যারেজ টিন দিয়ে ঘেরা। টিনের দেয়ালের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। সেই লাইন মেরামতের কাজ করা হচ্ছিল। এর পাশেই বাসগুলো রাখা হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগার আশঙ্কাই বেশি। আগুন লাগার সময় গ্যারেজটি তালাবদ্ধ ছিল। নিরাপত্তাকর্মীও তখন সেখানে ছিলেন না।

ধার্মিকপাড়ার গ্যারেজে থাকা বাসগুলোতে আগুন লাগার খবর সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। লন্ডন এক্সপ্রেস লিমিটেডের ভলভো কোম্পানির তৈরি এই বাসগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচল করত।

বাস পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।