বনানীর পাইনউড, নওয়াবি কুইজিন ও টার্কিশ বাজার রেস্তোরাঁকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
রাজউকের অনুমতি ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র কিছুই নেই। সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সও নেওয়া হয়েছে ভুল ঠিকানায়। আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো এমন তিনটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটির পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করা হয়।
রেস্তোরাঁগুলো হচ্ছে বনানী এলাকার ১৩–সি সড়কের ৪৮–ই প্লটের পাইনউড ও তাজিন নওয়াবি কুইজিন রেস্তোরাঁ এবং পাশের আরেকটি প্লটের টার্কিশ বাজার অ্যান্ড রেস্তোরাঁ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৪৮–ই প্লটে তিনতলা একটি আবাসিক ভবন। ভবনটির নিচতলায় বাসাবাড়ি। দোতলায় পাইনউড নামের রেস্তোরাঁটি। আর তৃতীয় তলায় তাজিন নওয়াবি কুইজিন নামের আরেকটি রেস্তোরাঁ। ছাদে টিনের ছাউনি করে এ রেস্তোরাঁর রান্নাঘর ও বসে খাওয়ার জায়গা।
এর পাশেই ৫০ নম্বর প্লটে আরেকটি ভবন। যার নিচতলায় টার্কিশ বাজার অ্যান্ড রেস্তোরাঁ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা রেস্তোরাঁ বন্ধ করে সরে গিয়েছিলেন।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, ভবনটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। রেস্তোরাঁ তো কোনোভাবেই চালানোর সুযোগ নেই। আবাসিক ভবন হওয়ার কারণেই তারা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রের জন্যও আবেদন করেনি। আর সিটি করপোরেশন থেকে নেওয়া যে ট্রেড লাইসেন্স দেখাচ্ছে, সেটি অন্য ঠিকানায় নেওয়া। টার্কিশ বাজার অ্যান্ড রেস্তোরাঁ নামের প্রতিষ্ঠানেরও একই দশা।
কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকা এ তিনটি রেস্তোরাঁকে অভিযানে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ঢাকা উত্তর সিটির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, রেস্তোরাঁগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই। রমজান মাস শুরুর বিবেচনায় আপাতত রেস্তোরাঁ তিনটিকে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তাদের আবাসিক ভবন ছেড়ে বাণিজ্যিক ভবনে স্থানান্তর হতে হবে। নতুবা ভবনটিকে বাণিজ্যিক অনুমোদন করাতে হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘আমরা এ দুটি ভবনমালিকের বিপরীতে গৃহকর পরিশোধের তথ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তাঁরা কীভাবে আবাসিকের কর পরিশোধ করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভাড়া দিয়েছেন, সেগুলো দেখা হবে। ভবন দুটির মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।’
এর আগে ১৭–এ সড়কের একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় থাকা টার্কিশ আদানা কাবাব নামের আরেকটি রেস্তোরাঁর আলোকিত সাইনবোর্ড ভেঙে অপসারণ করা হয়। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এ রেস্তোরাঁটিরও কোনো অনুমোদন নেই। রেস্তোরাঁর কর্মীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি দেখে তালা দিয়ে চলে যান।