ভাটারায় চুলার আগুনে দগ্ধ যুবক হানিফ শেখকে বাঁচানো গেল না

গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণপ্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারার পূর্ব নূরেরচালায় দগ্ধ যুবক হানিফ শেখ (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। তিনি কেব্‌ল টিভি সংযোগের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, হানিফ শেখের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

হানিফ শেখ সপরিবার নূরেরচালা এলাকার একটি টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকতেন। গত বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হানিফ শেখ ওই বাসার রান্নাঘরে ডিম ভাজি করতে যান। এ সময় চুলা থেকে তাঁর পরনে থাকা লুঙ্গিতে আগুন ধরে যায়। চুলাটিতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়।

হানিফ শেখের চিৎকার শুনে মা শিউলি বেগম (৪৫), বাবা হালিম শেখ (৫০) ও খালা রহিমা বেগম (৫০) রান্নাঘরে তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁরাও দগ্ধ হন। তাঁদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে হানিফ শেখ ও তাঁর বাবাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। বাকি দুজনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হানিফ শেখ মারা যান। হানিফের বাবা হালিম শেখ পেশায় গাড়িচালক।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন হালিম শেখের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৩৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া হানিফ শেখের মা শিউলি বেগমের শরীরের ১ শতাংশ এবং খালা রহিমা বেগমের শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়।