মোহাম্মদপুরে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যক্তি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বছিলা, গাবতলী, ডেমরা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিল্লাল হোসেন (২৫), আল-আমিন হোসেন (২৬), সবুজ (২৬), রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২৬)।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক
ছবি: সংগৃহীত

ঘটনার বিষয়ে জানাতে আজ রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

আজিমুল হক বলেন, ভুক্তভোগী নারী একসময় স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বছিলায় থাকতেন। মাস কয়েক আগে অসুস্থতার কারণে তিনি সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে গ্রামের বাড়িতে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাঁকে তালাক দেন। গত ২৫ জানুয়ারি তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন। এ দিনই তিনি ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হন।

‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। বিষয়টি গতকাল শনিবার জানাজানি হয়।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে আজিমুল হক বলেন, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভুক্তভোগী নারী তাঁর সাবেক স্বামী বাসা যান। গিয়ে দেখেন, তিনি বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত তিনি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বছিলা ৪০ ফিট তিন রাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা ভাড়া নেন।

নারীকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাতে থাকেন চালক। এ সময় চালক বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। নারীকে তাঁর সাবেক স্বামীর বাসা খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা ঘুরিয়ে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বছিলা ফিউচার টাউনের একটি স্থানে নারীকে নিয়ে যান। চালকসহ পাঁচজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

একপর্যায়ে নারীর চিৎকারে নিরাপত্তাকর্মীসহ আশপাশে লোকজনের ছুটে আসেন। চালকসহ পাঁচজন পালিয়ে যান। পরে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুন

পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে। পরে তারা প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ভুক্তভোগী নারীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আজিমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন শ্রমিকশ্রেণির। তাঁরা আগেও ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভুক্তভোগী নারীর সাবেক স্বামীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তাঁর সন্ধান শিগগির পাওয়ার আশা করছে পুলিশ।