যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বৈধতা নিয়ে রিট, শুনানি আজ
যশোরের যুবদল নেতা মো. আমিনুর রহমানকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে রিট হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার মধ্যাহ্নবিরতির পর রিটের ওপর শুনানি হওয়ার কথা।
আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা আবেদনকারীর হয়ে আজ সকালে রিট করেন। আবেদনকারীর আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে রিটটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত বেলা দুইটায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।’
রিটে আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বৈধতা প্রশ্নে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় কারাবন্দীদের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে প্রিজনার্স অ্যাক্ট ও জেল কোড প্রয়োগে উপযুক্ত গাইডলাইন সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। যথাযথ ও সুচিকিৎসার জন্য আমিনুরকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অথবা সমমানসম্পন্ন ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টের নজরে এনে স্যুয়োমটো (স্বতঃপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তাদের উদ্দেশে সেদিন আদালত বলেছিলেন, চাইলে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার যুবদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পেশায় কলেজশিক্ষক ওই যুবদল নেতা কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি।
যুবদলের ওই নেতার নাম আমিনুর রহমান। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডান্ডাবেড়ি পরা তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার কলেজের একজন শিক্ষকের সঙ্গে দাগী আসামির মতো ব্যবহারকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।