মঙ্গল শোভাযাত্রায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্ল্যাকার্ড ভাঙচুরের অভিযোগ

বিভিন্ন দাবির প্রতিকৃতি-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরাছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে এগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ছাত্র জোটের। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে জোটের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমরা নববর্ষে পরাধীনতার শিকল ভাঙো, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করো, দাম কমাও, জান বাঁচাও প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিসংবলিত প্রতিকৃতিও ছিল আমাদের হাতে। এগুলো নিয়ে শোভাযাত্রায় না ঢুকতে আমাদের ওপর একটা চাপ ছিল। কিন্তু চাপ উপেক্ষা করে আমরা এগুলো নিয়েই শোভাযাত্রায় অংশ নিই। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে ফিরে আসার সময় শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগ নেতা ওম প্রকাশের নেতৃত্বে আমাদের মোটিফ ও প্ল্যাকার্ডগুলো ভাঙচুর করা হয়।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন প্রতিকৃতিতে স্লোগান লিখে শোভাযাত্রায় যোগ দেন
ছবি: প্রথম আলো

জোটভুক্ত সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা প্রতিকৃতি-প্ল্যাকার্ড ভেঙে ফেলেছেন। আমাদের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছেন তাঁরা।’

ভেঙে ফেলা হয়েছে দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবির স্লোগান সংবলিত প্রতিকৃতি
ছবি : সংগৃহীত

ওম প্রকাশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহসম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনটি চারুকলা অনুষদের। সেই আয়োজনে তারা (বাম ছাত্রসংগঠন) প্রতিবাদ কেন করবে? তারা তাদের মতো করে বাইরে আলাদা প্রতিবাদ করুক। সেই জায়গা থেকে চারুকলার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করেছেন।’