‘সুলভ’ মূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি শুরু

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ‘সুলভ’ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছেছবি: প্রথম আলো

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ‘সুলভ’ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

উদ্বোধনের পর দুধ, ডিম, মাংস নিয়ে ফ্রিজিংভ্যানগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাজধানীর ২০টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল নয়টায় শুরু হবে।

এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস আধা কেজি করে কেনা যাচ্ছে।

বিক্রির স্থানগুলো হলো সচিবালয়সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুনবাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বছিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর ও রামপুরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা আমাদের অফিশিয়াল ম্যান্ডেড না। তারপরও কেন নিয়েছি? একজন মানুষকে যদি উপকার করতে পারি, একজন মানুষ যদি সহজলভ্য বা সাধ্যের মধ্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনতে পারেন, তাহলে তাঁর রোজা রাখা স্বস্তিদায়ক হবে। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কার্যক্রম শুরু করেছি।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গতবার একজন বৃদ্ধা বলেছিলেন, “এক কেজি মাংস কেনার সাধ্য তো আমার নেই। আমি তো আমার সন্তানকে মাংস খাওয়াতে পারব না।” দুধ ছোট্ট প্যাকেটে, ডিম অল্প পরিমাণে, মাংস আধা কেজি পর্যন্ত প্যাকেটে রাখব। যাতে একেবারে নিম্নপর্যায়ের মানুষও যেন তাঁদের সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারেন।’
এখন যে দাম ধরা হয়েছে, তার চেয়ে বাড়বে না। বাজারে দাম কমলে এসব পণ্যেরও মূল্য কমবে বলে জানান মন্ত্রী।

‘সুলভ’ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান
ছবি: প্রথম আলো

মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাধারণ একজন ক্রেতার কথা চিন্তা করে মূল্যছাড় দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকে। সে জন্যই বোধ হয় আমরা আয়োজন করতে পেরেছি, যেন সুলভ মূল্যে প্রাণিজ আমিষ পেতে পারেন।’

গণমাধ্যমকর্মীদের এই কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে প্রচার করার অনুরোধ জানান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

এখন মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে একটু বেশি অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিবি বলেন, ‘আপনারা বলছেন গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু আমরা আগে যে দামে গরু বিক্রি করতাম, এখনো সেই দামে বিক্রি করছি।’

এসব প্রাণিজ আমিষ বিক্রি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর সহযোগিতায় রয়েছে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল।