ধানমন্ডিতে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও গাড়ির শোরুম, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সেখানে অভিযান চালায় রাজউকছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ৩৬ নম্বর দোতলা বাড়িটি আবাসিক। তবে এই বাড়িতে এখন আর কেউ বসবাস করেন না। ভবনের নিচতলায় চলছে রেস্তোরাঁ। আর দোতলায় বিউটি পারলার। আজ বুধবার দুপুরে ওই ভবনে অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে ভবনের মালিক মো. মইনুদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ওই রেস্তোরাঁর ব্যাপারে উচ্চ আদালতের একটি স্থগিতাদেশ থাকায় সেটা বন্ধ করতে পারেননি রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই বাড়ির পাশের ৩৮ নম্বর ভবনটিও রাজউকের নকশায় আবাসিক। কিন্তু সেখানে গাড়ির শোরুম। পরে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভবনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অন্যদিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের ৩৬ নম্বর বাড়িটিও আবাসিক। কিন্তু সেখানে নিচতলা ও দোতলায় চলছে রেস্তোরাঁ। এর ওপরের তলায় আছে বেসরকারি একটি স্কুল। এই ভবনেও অভিযান চালিয়েছে রাজউক।

বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জানান, ভবনের মালিক বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই তিনি ভবনের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আর দুই রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ভাড়া নিয়েছে, তবে সেই কাগজও তারা দেখাতে পারেননি। পরে রাজউক ভবনমালিককে কাগজ দেখানোর জন্য দুই মাস সময় দেন।

রাজউক বলছে, আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, বিউটি পারলার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তাই দুটি ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজউকের এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, দুটি আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অপসারণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে, এখানে রাজউকের কর্মকর্তাদের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, জানতে চাইলে মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, রাজউকের কর্মকর্তারা এসব ভবন চিহ্নিত করে নোটিশে টানিয়ে দিয়ে যান। কোনো কোনো ভবনমালিক সেই নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন।