মাতুয়াইলে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার, কারা হেফাজতে মৃত্যু

ইদ্রিস আলী
ছবি: সংগৃহীত

কারা হেফাজতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (৬০)। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর মাতুয়াইলে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেদিন সেখানে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় করা মামলায় সেদিন রাতেই কদমতলী থানার পুলিশ জুরাইনের বাসা থেকে ইদ্রিস আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইদ্রিস আলীর বড় ভাই আক্কাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ইদ্রিস বিএনপির রাজনীতি করতেন। তবে সেদিন অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন না। তবু তাঁকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর কোনো ধরনের রোগ ছিল না বলে দাবি করেন আক্কাস।

রাজধানীর মাতুয়াইলে গত ২৯ জুলাই বিএনপির নেতা–কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়
প্রথম আলো ফাইল ছবি

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন ও সিভিল সার্জনের সুপারিশের ভিত্তিতে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইদ্রিস আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালের নতুন ভবনের ষষ্ঠ তলায় ৬১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি ৫৩৯ পূর্ব জুরাইনে থাকতেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ইদ্রিস আলীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট উইথ পালসলেস উইথ হাইপারটেনশনে’ আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর সনদে কারণ হিসেবে ‘ইররিভারসিবেল কার্ডিও রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট ডিউ টু সিভিডি (ব্রেন স্ট্রোক)’ উল্লেখ রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন