কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ক্ষমা পেলেন ইডেনের দুই নেত্রী

ছাত্রলীগ

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুই নেত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার ওরফে বৈশাখীর বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়৷

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত এবং কলেজ শাখার ১৬ নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। একই বছরের ৯ নভেম্বর তাঁরা সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। ২৩ নভেম্বর বহিষ্কৃত ১৬ নেতা-কর্মীর মধ্যে ১৪ জনের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বাকি যে দুজন বহিষ্কৃত থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের বহিষ্কারাদেশও এবার প্রত্যাহার করে নিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ।

রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজ আবেদন, ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনের জন্য সম্মানহানিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত না থাকার অঙ্গীকার করায় জান্নাতুল ফেরদৌস ও সামিয়া আক্তারের ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো৷

আরও পড়ুন

ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার কিছু অনুসারীর হাতে সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত ও পরদিন দিনব্যাপী উত্তপ্ত ছিল কলেজ ক্যাম্পাস৷ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধী পক্ষ ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের দুজনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের বহিষ্কার দাবি করে। একই দিন সন্ধ্যার আগে কলেজ মিলনায়তনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সংঘর্ষ বাধে৷

সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্নাসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন৷ তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাধারণ সম্পাদক রাজিয়াও ক্যাম্পাসছাড়া হন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসছাড়া হওয়ার খুশিতে তাঁদের বিরোধী পক্ষের নেত্রীরা ক্যাম্পাসে আনন্দমিছিল করেন। ওই অস্থিরতা চলাকালে বিরোধী পক্ষে থাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার ওরফে বৈশাখী গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, ইডেন কলেজে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন। এ নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়৷             

আরও পড়ুন