কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৪ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে অতিথিরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেছবি: প্রথম আলো

তৃণমূল মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাইলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৪’ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি সচল থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে অবশ্যই পারবে। মন্ত্রী হওয়ার পরে আমি যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি, প্রত্যেক জায়গায় দেখেছি, সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবদান সবচেয়ে বেশি দরকার। আমরা যদি তৃণমূল জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাই, তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে। তাহলেই আমরা এ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারব।’

স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এবং তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।’ চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য তাঁদের ব্যক্তিগত সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলিটাইজেশন অব কমউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশের (আরসিএইচসিআইবি) প্রকল্প পরিচালক ও সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস বলেন, ‘চিকিৎসকেরা সমাজেরই অংশ। দেশে অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মনোজাগতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা কিছুটা হতাশ হব। সমাজের দুর্নীতি ও অন্যান্য যেসব ব্যাধি আমাদেরকে আক্রান্ত করছে, এসব আমাদের সামনের যাত্রাকে পেছনে টেনে রাখছে। এগুলোতে যদি আমরা উন্নয়ন করতে না পারি, তাহলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারব না।’

এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পটভূমি, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন চিকিৎসক আলমগীর খান, আরাফাতুর রহমান ও এস এম হাসান মাহমুদ।