বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনেও চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় কোথাও কোনো অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নূরজাহান বেগম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যাঁরা দুর্নীতি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের শুধু আশ্বাস দিলে হবে না, তাঁদের সুচিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় যত টাকা লাগবে, সরকার তা বহন করবে। সরকারের সেই সক্ষমতা আছে।
আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁদের চিকিৎসায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাঁদের দ্বিতীয়বার সরকারের কাছে আসতে না হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তাঁদের মানসিক কাউন্সেলিং দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবাকে রুটিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৬০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।