শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়েছে পুলিশ

বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

এরপর পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা সড়কের একপাশে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা একটার দিকে তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে স্মারকলিপি জমা দিতে রওনা দিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

তবে শিক্ষার্থীরা সবাই একযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে এই পথ হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করে প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক থেকে চলে যান।  এ সময় আতঙ্কে আশপাশের লোকও ছোটাছুটি করতে থাকেন।

বেলা পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এসএসসি ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এটি একটি যৌক্তিক দাবি।

তাঁরা বলছেন, সুযোগ চাওয়া কোনো অন্যায় নয়। তাঁরা বলেন, মানুষ একবার হেরে গেলে তাঁকে সুযোগ দিতে হয়। তাহলে তিনি আবার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু এখানে সুযোগ দেওয়া হয় না।

এখানে মূল্যহীন বস্তুর মতো একবারে থামিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন,  ২০১৪ সালের আগে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না থাকত, তাহলে অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই চমৎকার চমৎকার শিক্ষকেরা থাকতেন না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি অন্ধ হয়ে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, দেশের উন্নতি হয় এমন কাজে বাধা দেয়, সে ক্ষেত্রে কী হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না!