জুতা হাতে বাসে একাই লড়েছিলেন তরুণী

রাজধানীর বছিলায় বাসের মধ্যে পোশাক নিয়ে কটূক্তির সাহসী প্রতিবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর প্রশংসা করে এমন চিত্র ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছেছবি: জান্নাতি হোসেন

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, বাসের সামনের আসনে বসা এক ব্যক্তির কোনো একটি মন্তব্য নিয়ে এক তরুণী তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তিনি তেড়ে যান লোকটির দিকে। ওই সময় লোকটি আসন ছেড়ে উঠে তরুণীকে চড় মারেন। একপর্যায়ে দুজন জুতা খুলে দুজনের দিকে তুলে ধরেন। সে সময় ওই ব্যক্তি তরুণীকে আঘাত করেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই ব্যক্তি এরপর বারবার তরুণীর গায়ে ধাক্কা মারেন ও আঘাত করার চেষ্টা করেন। তরুণী চিৎকার করে বলছিলেন, ‘তুই আমার পোশাক তুলে কেন কথা বলবি?’ বাসের কেউ একজন দৃশ্যটা ভিডিও করছিলেন। কিন্তু সামনের দিকে থাকা দুই নারী ও একজন পুরুষ ছাড়া আর কেউ আঘাত করা ব্যক্তিটিকে থামানোর চেষ্টা করেননি, প্রতিবাদ করেননি। একদম চুপ ছিলেন তাঁরা। জুতা হাতে একাই বাস কনডাক্টরের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী।

ঘটনাটি ২৭ অক্টোবরের, রাজধানীর বছিলার। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আলোচনায় উঠে আসে গণপরিবহনে হরহামেশাই নারীদের হয়রানি ও যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি।

ইতিমধ্যে হেনস্তাকারী ব্যক্তি ও প্রতিবাদী সেই তরুণীর পরিচয় জানা গেছে। হেনস্তাকারী ব্যক্তির নাম নিজাম উদ্দিন (৪৫)। তিনি বছিলা এলাকায় চলাচলকারী রমজান পরিবহন নামের ওই বাসের কনডাক্টর। এ ঘটনায় তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। আর হেনস্তার শিকার তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই তরুণী এক ভিডিও বার্তায় ও বন্ধুদের কাছে জানিয়েছেন, তিনি এখন কারও সঙ্গে কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। এ ঘটনায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হওয়ায় আইন মেনে ওই তরুণীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪–এর অপারেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরার ফয়সাল প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা গতকাল নিজাম উদ্দিনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করেন। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ওই তরুণী থানায় মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওসি জানান, হাফ ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাস কনডাক্টর তরুণীর পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন এবং তরুণীকে আঘাত করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা যৌন নিপীড়ন বিষয়ক অভিযোগের জন্য। ওই ধারা অনুসারে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড পেতে পারেন।

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই তরুণী

তরুণীর একটি ভিডিও বার্তা আজ ফেসবুকে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ভিডিওতে তরুণী নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসে যে তরুণীর কথা বলা হচ্ছে, আমি সেই তরুণী। গত কয়েক দিন ধরে আমি সকলের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়ে আমি খুবই “ট্রমাটাইজড” ছিলাম। গতকাল থেকে প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। গতকাল আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, যে আসামি, তাঁকে মোহাম্মদপুর থানায় অ্যারেস্ট করেছে (গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে)। আমি এখন মোহাম্মদপুর থানায় যাচ্ছি। এই ভিডিওটা আমার নিরাপত্তা এনশিউর (নিশ্চিত) করার জন্য বা আপনাদের জানানোর জন্য করে রাখছি। আমি যদি কোনো স্ক্যামেও (প্রতারণা) পড়ি, যাতে আপনারা সেটা জানতে পারেন।’

গতকাল ওই তরুণীর পরিচয় জানার পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। তিনি কোনো সাড়া দেননি। আজ তাঁর মুঠোফোনে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত তরুণীর বিষয়ে তাঁর দুজন বন্ধুর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা জানান, তাঁদের বন্ধু (তরুণী) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি বাইরের কারও সঙ্গে এখন কথা বলতে চাইছেন না।

রাজধানীর বছিলায় পোশাক নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণী
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

তরুণীর বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই তাঁর সঙ্গে বন্ধুর (তরুণী) কথা হয়েছিল। বন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, বাসায় যাওয়ার পথে বাসে ঘটনাটি ঘটে। বাস কনডাক্টর তাঁকে হেনস্তা করেছেন ও পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। এটা নিয়ে তিনি মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে আছেন। এ ধরনের ঘটনায় বিচার পেতেও দেখা যায় না। তাই তিনি বিচার চাইবেন কি না, সেটা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন। সবশেষ আজ সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বন্ধু তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি কিছুটা অসুস্থ। সুস্থ হয়ে তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

ওই তরুণীর আরেক বন্ধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বন্ধু মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে।

জুতা হাতে লড়াই করা তরুণীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদী প্রতীকী ছবি। অনেকে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

সাবিনা পারভীন নামের একজন উন্নয়নকর্মী সেই প্রতীকী ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মুখ সামলে রাখুন। না হলে আমাদের হাত সামলানো মুশকিল হবে।’ অনেকে তরুণীর এই সাহসী ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেছেন।

তাঁর একজন বন্ধু ফেসবুকে লিখেছেন, ‘...তোর থেকে যেটা শিখলাম সেটা হইল দাম দিয়ে মোটা শক্ত জুতা কিনতে হইবে।’ আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘থ্যাংক ইউ... তুই তোর সর্বোচ্চটা দিয়ে ফাইট করছিস।’

গণপরিবহনে হয়রানি, ধর্ষণ ঘটেই চলেছে

বাসসহ গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার এমন উদাহরণ আরও আছে। মাঝেমধ্যে সেসব ঘটনা আলোচিত হয় এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেমন ২০২২ সালের ২৪ জুলাই রাজধানীর আজিমপুরে একজন কলেজছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর তা আলোচিত হয়। পরে ভিডিও ফুটেজ থেকে বাস শনাক্ত করে এর চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনার পর তিনটি বাসে চালকদের ইউনিফর্ম ও ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা হয়েছিল।

২০২২ সালে আঁচল ফাউন্ডেশন ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহনে হয়রানি: কিশোরী এবং তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব’ শিরোনামে একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জরিপে অংশগ্রহণকারী কিশোরী ও তরুণীদের ৬৩ শতাংশ জানিয়েছিলেন, তারা গত ছয় মাসে (জরিপের সময় থেকে) গণপরিবহনে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।

যৌন হয়রানির শিকার নারী ও কিশোরীদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছিলেন তাঁরা অন্য যাত্রী, ২০ শতাংশ জানিয়েছিলেন বাসের সহকারীর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। চালক ও হকারের মাধ্যমেও যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেউ কেউ। জরিপে অংশ নেওয়া এক–তৃতীয়াংশের বেশি কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছিলেন, তাঁরা দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা গণপরিবহনে সময় ব্যয় করেন।

বাস, ট্রেনসহ গণপরিবহনে হেনস্তা, যৌন হয়রানির পাশাপাশি ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন চাকরিজীবী নারী রূপা। ২০১৯ সালের ৬ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে স্বর্ণলতা পরিবহনে একজন নার্সকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় চলন্ত বাসে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ২০২২ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরে চলন্ত বাস থেকে স্বামীকে ফেলে দিয়ে এক নারীকে (২১) দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এর চার দিন আগে ২ আগস্ট দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০২৩ সালের ১৮ জুন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বাসের চালক ও তাঁর সহকারীরা। কিন্তু ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে সড়কে ফেলে দেন ওই নারীকে। দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই নারী মারা যান। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি ভুল ট্রেনে উঠে পড়া এক কিশোরীকে চলন্ত ট্রেনে (লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে) ধর্ষণ করেন ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিন
ছবি: র‌্যাবের সৌজন্যে

নারীর চলাচল নিরাপদ করতে কী উদ্যোগ আছে

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তায় এ বছরের ১৫ মার্চ ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেসি) ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এসবিএফ) ঢাকায় HELP অ্যাপ চালু করে। হেল্প–এর পুরো নাম (হ্যারাসমেন্ট ইলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ফ্রি প্রেস লিমিটেড ও আর্টিকেল ১৯–এর সহায়তায় কর্মসূচিটি চলছে।

বিজেসির সমন্বয়ক ও হেল্প–এর কর্মসূচি কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো নারী বা সাক্ষী যাত্রী হয়রানির অভিযোগ জানাতে পারেন। অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি জানান, চলন্ত বাসে বা গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে অ্যাপে ঢুকে এক ক্লিকেই রিপোর্ট করা যায়। মোহাম্মদপুর থেকে সায়েদাবাদ রুটের বাসগুলোতে QR কোড রয়েছে, স্ক্যান করলেই অ্যাপটি খুলে যায়। ‘অ্যালার্ট’ অপশন চাপলে ভিকটিমের লাইভ লোকেশন অ্যাডমিনের কাছে পৌঁছে যায়, সেখান থেকে নিকটস্থ থানাকে সংযোজিত করা হয়। অ্যাপে রয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং নিকটস্থ থানার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা। ব্যবহারকারী চাইলে নিজের পরিচয় প্রকাশ না করেও অভিযোগ জানাতে পারেন। সব রিপোর্টের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষিত থাকে, যা প্রয়োজনে আইনি সহায়তায় ব্যবহার করা যায়। তিনি জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা ৭০০টির বেশি অভিযোগ পেয়েছেন। অনেক অভিযোগ প্রকল্পের বাইরের এলাকার। এখন পর্যন্ত ১৫০টি অভিযোগের বিষয়ে সমাধান দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

নারীর যাতায়াত নিরাপদ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ১০০টি বাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর একটি পাইলট প্রকল্প নেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কর্মসূচি’র আওতায় এক বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বেসরকারি সংগঠন দীপ্ত ফাউন্ডেশন। ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রকল্পে ২০২২ সালে ঢাকায় ১০৮টি বাসে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পর এটা নিয়ে আর কোনো পর্যবেক্ষণ নেই।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও প্রকল্প পরিচালক দীপক কুমার রায় আজ প্রথম আলোকে বলেন, ক্যামেরাগুলো বাসচালকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন সেগুলো কী অবস্থায় আছে, তা আর পর্যবেক্ষণে নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে অল্পসংখ্যক বাসে ক্যামেরা স্থাপন করে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য সব বাসে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ উদ্যোগ নিলে তা কার্যকর হবে।